🕯️ কালো ঘরের জিন – একটি ভয়ংকর জীনের গল্প

 

🕯️ কালো ঘরের জিন – একটি ভয়ংকর জীনের গল্প

🔥 ভূমিকা

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে আজও অনেক অলৌকিক গল্প প্রচলিত। এমনই এক গল্প হলো "কালো ঘরের জিন"। নয়ন নামের এক কিশোরের চোখ দিয়ে দেখা এই ভয়ানক অভিজ্ঞতা আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে, হয়তো গা শিউরে উঠবে।

---

🌾 নির্জন গ্রাম ও রহস্যময় ঘর

নয়নের মামার বাড়ি রাজবাড়ির এক গ্রামে, নাম চরচাঁদপুর। সেখানে বেড়াতে গিয়েই সে প্রথম জানতে পারে বাড়ির এক কোণায় থাকা "কালো ঘরের" কথা।
ঘরটি সবসময় তালাবদ্ধ, কেউ সেখানে যায় না। কেন?

“ও ঘরে ভালো কিছু নেই,” — বলেছিলেন নয়নের মামা।

👁️‍🗨️ প্রথম দেখা, প্রথম ভয়

এক রাতে নয়ন জানালার ফাঁক দিয়ে দেখে, কালো ঘরের দরজাটা একটু খোলা। ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে এক ছায়ামূর্তি—চোখ দুটো লালচে, আগুনের মতো। নয়নের গলা শুকিয়ে যায়।

---

😱 আস্তে আস্তে ছায়ার ছায়া

পরদিন থেকে নয়নের মধ্যে অদ্ভুত পরিবর্তন দেখা যায়। সে চুপচাপ, ঘুম কম, চোখে কালি, এবং রাতে পায়ের শব্দ শুনতে পায়। এক রাতে সে দেখে, তার ঘরের মধ্যে সেই ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে আছে...

---

📿 ঝাড়ফুঁক ও হুজুরের আগমন

মামা গ্রামের এক হুজুরকে ডাকেন। হুজুর বলেন, “ও ঘরে এক কোরআন-অমান্য জিন বাস করে। নয়ন তাকে নিজের মনে ডেকে এনেছে।”

তিনি বলেন, জিন তাড়াতে হলে কালো ঘরে গিয়ে সুরা বাকারা পড়ে ঝাড়ফুঁক করতে হবে।

---

🔥 ঘরের ভিতরে মুখোমুখি জিনের

ঘর খুলতেই হিম ঠাণ্ডা বাতাস। হুজুর তিলাওয়াত শুরু করেন। তখনই নয়নের চিৎকার—"ও এখানে!"
হঠাৎ ঘরের বাতি নিভে যায়, জানালায় কিছু একটা আছড়ে পড়ে, যেন আত্মার কান্না।

অবশেষে, হুজুর বলেন, “ও চলে গেছে। কিন্তু ঘরটা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।”

---

🔚 শেষ পরিণতি

পরদিন কালো ঘরে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে এক দীর্ঘ আর্তনাদ! নয়ন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়, কিন্তু এখনো রাতে মাঝে মাঝে বলে—
“ও ফিরে আসবে...”

---

📌 উপসংহার

চরচাঁদপুর এখন শান্ত। কিন্তু যে ঘরটা ছিল, সেখানে রাত নামলে আজও হঠাৎ আলো দেখা যায়। কেউ বলে, বাতি। কেউ বলে, “না... ও এখন খুঁজছে নতুন মন।”